অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঢাকায় উদ্বোধন হওয়া মেট্রোরেল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত। বৈদ্যুতিক ট্রেন হওয়ায় এটি পরিবেশের ক্ষতি করবে না। পাশাপাশি মেট্রোরেলের কারণে ঢাকায় জ্বালানিচালিত গাড়ির ব্যবহারও কমবে। জ্বালানির ব্যবহার কমলে পরিবেশ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমএএন ছিদ্দিক মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব তথ্য দেন। মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে বুধবার উত্তরার দিয়াবাড়ী প্রান্তে সুধী সমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন।
ডিএমটিসিএল এমডি বলেন, ‘মেট্রোরেলে প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবে। সেই হিসাবে প্রতিদিন ৫ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।’
রাজধানীতে আরও তিনটি মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমআরটি লাইন-১ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেল। আগামী জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী এ লাইনের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’
এর আগে বেলা ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। এসসময় সরকারপ্রধানের সঙ্গে ছিলেন ছোট বোন শেখ রেহানা। পরে সরকারপ্রধান সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
সুধী সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাপান রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ইচিগুচি তামোহিদে।
প্রসঙ্গত, মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। বাকি ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply